দুগ্ধজাত পণ্যের সঙ্গে মাছ রেখে গুনলেন লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়ার শেরপুরে দই উৎপাদনকারী দুটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় অভিযান চালিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। অভিযানে কারখানায় নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাওয়া গেল। দুগ্ধজাত পণ্যের সঙ্গে কাঁচা মাছ রাখা। ১৫ কেজি পচা দুর্গন্ধযুক্ত মাওয়া (মাঠা) জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে এসব জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি ওই দুই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ করে মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে শেরপুরে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় এ অভিযান চালানো হয়। দণ্ডিত প্রতিষ্ঠান দুটি হলো শেরপুর শহরের ‘স্বরপাতা দই ঘর’ ও ‘রিংকী সুইটস’। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আসিফ বিন ইকরাম অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, কারখানা দুটি পরিদর্শনকালে অত্যন্ত নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় দই ও মিষ্টি তৈরি করতে দেখা যায়। এ সময় আনুমানিক ১৫ কেজি পচা দুর্গন্ধযুক্ত মাওয়া (মাঠা) পাওয়া যায়। দুগ্ধজাত পণ্যের সঙ্গে মাছ রাখতে দেখা যায়। অভিযানে এসব ধ্বংসের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ওই দুই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ করে মোট দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
এ সময় স্বরপাতা দই ঘর ও রিংকী সুইটস কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুত ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষণ ও ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা–সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত নির্দেশনা এক মাসের মধ্যে প্রতিপালন করবে মর্মে মুচলেকা দেয়।
অভিযানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বগুড়া জেলার কর্মকর্তা মো. রাসেল, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক রাম চন্দ্র সাহা, তাহমিনা আক্তারসহ সহযোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন র্যাব বগুড়ার সদস্যরা।