দিনাজপুর সদর উপজেলায় গণেশ ঋষি (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গণেশকে বাঁচাতে প্রতিবেশী সুরেশ ঋষি (৩০) ও হরেণ ঋষি (৫০) এগিয়ে এলে একই হাঁসুয়া দিয়ে তাঁদেরও কুপিয়ে আহত করা হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের উত্তর জয়দেবপুর মুশোহরপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে হাঁসুয়াসহ বিকাশ ঋষি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন আটক করে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। হতাহত ব্যক্তিরা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী মুশহর সম্প্রদায়ের সদস্য।
নিহত গণেশে ঋষি ওই এলাকার মৃত এতোয়ার ঋষির ছেলে। অভিযুক্ত বিকাশ ঋষি একই পাড়ার মেহের চাঁদ ঋষির ছেলে।
গণেশ হাত, পেট ও মাথায় গুরুতর জখম নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে নিজ বাড়ির বাইরে বসে ছিলেন গণেশ ঋষি। হঠাৎ ধারালো হাঁসুয়া হাতে নিয়ে দৌড়ে এসে তাঁকে উপর্যুপরি কোপান প্রতিবেশী বিকাশ। সুরেশ ঋষি ও হরেণ ঋষি নামের দুই প্রতিবেশী ঘটনা দেখে গণেশকে রক্ষায় এগিয়ে এলে তাঁদেরকেও কোপান বিকাশ। গণেশ হাত, পেট ও মাথায় গুরুতর জখম নিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা এগিয়ে এসে বিকাশ ঋষিকে মারধর করে বেঁধে রাখেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সুরেশ ঋষি ও হরেণ ঋষিকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বিকাশ ঋষি মানসিক ভারসাম্যহীন। বেশ কিছুদিন বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ ছিলেন। কয়েক দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি ফরিদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাঁসুয়াটি জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওসি বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির সঙ্গে অভিযুক্ত হামলাকারীর কোনো প্রকার দ্বন্দ্ব নেই। হামলাকারীরা ওই ব্যক্তি মানসিক বিকারগ্রস্ত। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।