বিশ্বম্ভরপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফতেপুর এলাকায়
বিশ্বম্ভরপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফতেপুর এলাকায়

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাচন

হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক প্রার্থীর দুই সমর্থক আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফতেপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দুজনই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রনজিত চৌধুরী ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার বর্মণের সমর্থকদের মধ্যে ওই ঘটনা ঘটে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী দিলীপ কুমার বর্মণের অভিযোগ, তাঁর সমর্থকদের ওপর পরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী রনজিত চৌধুরী ও তাঁর কর্মীরা হামলা করেছেন। তবে রনজিত চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি বা তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা কারও ওপর হামলা করেননি। বরং দিলীপের কর্মীই হামলা চালিয়ে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করেছেন।

রনজিত চৌধুরীর বাড়ি উপজেলার ফতেপুর গ্রামে। ওই গ্রামের সড়কে আজ দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। যুবলীগ নেতা রনজিত চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কারও ওপর হামলা করিনি। ওই প্রার্থীর সমর্থক সন্ত্রাসীরা আমার ওপর হামলা করেছে। আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছে।’

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা দিলীপ কুমার বর্মণ বলেন, ফতেপুর গ্রাম থেকে দুপুরে মোটরসাইকেলে উপজেলা সদরে আসার সময় রনজিত চৌধুরী, তাঁর ভাই ও অন্যরা হামলা করেন। তখন তাঁর সমর্থকদের মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার সমর্থকেরা নিরীহ। তাঁদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে।’ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে বলেন, ‘এটা যে বানানো, এলাকাবাসীকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন।’

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক প্রথম আলোকে বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সবাইকে শান্ত করে। বিশ্বম্ভরপুরের শান্তিপ্রিয় পরিবেশ, কেউ ঘোলাটে করতে চাইলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে মোট পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দিলীপ ও রনজিত ছাড়া অন্য তিনজন হলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদার এবং বিএনপির নেতা মোহন মিয়া।