খুলনায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। দুপুরে নগরের রয়েল মোড় এলাকায়
খুলনায় শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। দুপুরে নগরের রয়েল মোড় এলাকায়

খুলনায় শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ

খুলনায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন।

আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে নগরের রয়েল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সাতরাস্তা মোড়, রয়েল মোড়সহ পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার হামলা–মামলা গুম ও খুনের প্রতিবাদে এবং জাতিসংঘকর্তৃক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টা থেকে নগরের রয়েল মোড় এলাকায় ওই কর্মসূচি পালন করার কথা ছিল। ওই কর্মসূচি ঘিরে আজ রয়েল মোড়, শিববাড়ি মোড়সহ নগরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিভিন্ন জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা রয়েল মোড়ে আসতে থাকেন। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে একটি মিছিল নিয়ে প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী সাতরাস্তা মোড় থেকে রয়েল মোড়ে আসেন। এ সময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পুলিশের সামনেই তাঁরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ ও বিজিবি শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে পুলিশ বিভিন্ন গলিতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করার চেষ্টা করে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও রাস্তা অবরোধ করে মানুষের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবিরের লোকজন বেশি ছিল বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। তাঁদের সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে আল শাহরিয়ার বলেন, পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতে অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের সন্ধ্যার মধ্যে মুক্তি না দিলে তাঁরা স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হবেন।