ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় আবু হায়দার ওরফে রণি ইসলাম (২০) নামের এক ছাত্রদল কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার ভোরে তাঁকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আবু হায়দার সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের বজ্রপাটুলিয়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আজ ভোরে ঢাকা থেকে এসডি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে করে সাতক্ষীরায় যাওয়ার সময় ভাঙ্গা গোলচত্বর এলাকা থেকে আবু হায়দারকে আটক করা হয়। পুলিশ সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে তিনি মুঠোফোনে বলেন, গ্রেপ্তার আবু হায়দারকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে পাঠানো হবে।
আবু হায়দারের মা রহিমা খাতুন বলেন, আবু হায়দার অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। বর্তমানে রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করা হায়দার বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে বুধবার ঢাকায় যায়। আজ ভোরে সাতক্ষীরায় ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে শনিবার রাত দেড়টার দিকে আবু হায়দারের বাবা আনারুল ইসলামকে কালীগঞ্জ থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
গতকাল শনিবার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান পুলিশের কনস্টেবল মো. আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২)। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় আজ পল্টন থানায় মামলা করে পুলিশ।