ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদস্যকে মারধরের মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে বোয়ালমারী থানায় মামলার পর রাতেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মুর্তজা আলী ওরফে তমাল (৩১) ও সহসভাপতি মো. রনি মাহমুদ (২৮)। তাঁরা দুজন বোয়ালমারী উপজেলা সদরের কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজ এলাকার বাসিন্দা।
ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ মতিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের আজ সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল বোয়ালমারী উপজেলা সদরে হাটের দিন থাকায় নাটমন্দিরের সামনে স্টেশন সড়কে প্রচুর যানজট ছিল। এর মধ্যে জেলা ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি যাচ্ছিল। গাড়িটির পেছনে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহসভাপতি। যানজটের কারণে সামনের গাড়িটি এগোতে না পারলেও পেছন থেকে ছাত্রলীগ নেতাদের বহনকারী মোটরসাইকেল থেকে বারবার হর্ন দেওয়া হচ্ছিল। তখন ডিবির গাড়ি থেকে মির্জা গোলাম গাউস নামের একজন কনস্টেবল নেমে মোটরসাইকেল আরোহীদের হর্ন দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করেন। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে ওই কনস্টেবলকে মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতারা।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হান্নান বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় গতকাল রাতে মামলা করেন। এরপর রাতেই ওই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালমারী থেকে ফরিদপুর নিয়ে আসা হয়।
ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পুলিশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। একটা ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছে। আশা করছি দ্রুত বিষয়টি মিটে যাবে।’