বরিশালের বানারীপাড়ায় এক গৃহবধূকে হাতুড়িপেটা করে হত্যার পর তাঁর স্বামী ৯৯৯-এ ফোন করে আত্মসমর্পণ করেছেন। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার তেতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও গৃহবধূর পরিবার জানায়, বীথি সমদ্দার (২৫) নামের ওই গৃহবধূকে আজ দুপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করেন তাঁর স্বামী সুমন রায় (৩৩)। পরে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে সুমনকে আটক করলে তিনি জনরোষ থেকে রক্ষা পেতে পুলিশের জরুরি সহায়তা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণের ইচ্ছার কথা জানান। পরে বানারীপাড়া থানার পুলিশ সুমন রায়কে আটক করে।
বীথিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিকেল পৌনে চারটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বীথির পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বছর পাঁচেক আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের বাসুদেব সমাদ্দারের মেয়ে বীথি সমদ্দারের সঙ্গে বানারীপাড়ার উদয়কাঠি ইউনিয়নের তেতলা গ্রামের সুধীর রায়ের ছেলে সুমন রায়ের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে সুপ্তী রায় নামের তিন বছর বয়সী একটি মেয়েসন্তান রয়েছে।
বীথি ও সুমন দম্পতি একে অপরকে নানাভাবে সন্দেহ করতেন। সন্দেহ ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে কলহের জের ধরে রোববার বেলা ১১টার দিকে তাঁদের দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুমন রায় হাতুড়ি দিয়ে বীথির মাথায় এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত করেন। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে সুমনকে আটক করেন।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সুমন রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বীথির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।