ভারত ভ্রমণ শেষে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দেশে ফেরার পথে মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

ঈদের ছুটিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভারতে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন মো. জুনায়েদ হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ডাউকি ইমিগ্রেশন হয়ে তিনি ভারতে গিয়েছিলেন। ভারত ভ্রমণ শেষে গতকাল শনিবার বিকেলে একই পথেই দেশে ফিরছিলেন তাঁরা। দেশের মাটিতে পা রাখার আগেই ভারত সীমান্তের ভেতরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান জুনায়েদ।

মো. জুনায়েদ হোসেন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে ভারত ভ্রমণে যান জুনায়েদ হোসেন। গতকাল বিকেলে ভারতের ডাউকি ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম শেষ করে সিলেটের তামাবিল বন্দর দিয়ে দেশের ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। এ সময় ডাউকি বিএসএফ গেটে আসার পর তাঁর সন্তানের পাসপোর্টে ভারতের ইমিগ্রেশন সিল না দেখে সিল নেওয়ার জন্য ডাউকি ইমিগ্রেশনের দিকে রওনা দিলে বুকে ব্যথা অনুভব করেন জুনায়েদ। পড়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশসহ স্ত্রী-সন্তান তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ জুনায়েদের লাশ তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ স্ত্রী ও স্বজনদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয়।

তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক মো. রুনু মিয়া বলেন, গতকাল রাতে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁদের কাছে লাশটি হস্তান্তর করেছে। পরে তামাবিল পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে