হবিগঞ্জে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর

আদালত
প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় জেলা বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদালত। আজ রোববার দুপুরে হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদের আদালতে হাজির হয়ে মামলার দেড় শতাধিক আসামি জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ১৫ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

মামলার বাকি ১৩৬ আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ওই নেতা-কর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় মাসের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁরা নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ও বিএনপির নেতা নুরুল ইসলাম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

কারাগারে পাঠানো নেতা-কর্মীরা হলেন জেলা বিএনপির সদস্য মহিবুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সদস্যসচিব ও হবিগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সফিকুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব এমদাদুল হক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) জহিরুল ইসলাম, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর টিপু আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, হবিগঞ্জ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মুর্শেদ আলম, বিএনপির কর্মী মাহবুবুল হক, কুমেদ আলী, মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য চৌধুরী ফজলে ইমাম, মনির উদ্দিন, জসিম সিকদার ও মহিব উল্লাহ।

আদালত ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত ১৯ আগস্ট বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে পদযাত্রা বের করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সংঘর্ষে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজয় চন্দ্র দেবসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় ২০০ জনের নাম উল্লেখ এবং হাজারের বেশি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ।

ওই ঘটনার পরদিন ২০ আগস্ট বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হয়। মামলার দেড় শতাধিক আসামি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে আজ আদালতে হাজির হয়ে তাঁরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে উল্লিখিত ১৫ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।