সুপারির বস্তার ভেতর থেকে জার্মানিতে তৈরি ১টি জি-থ্রি রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন ও ৫০টি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বিকেলে টেকনাফ থানায়
সুপারির বস্তার ভেতর থেকে জার্মানিতে তৈরি ১টি জি-থ্রি রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন ও ৫০টি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বিকেলে টেকনাফ থানায়

সুপারির বস্তার ভেতর পাওয়া গেল জি-থ্রি রাইফেল

কক্সবাজারের টেকনাফে সুপারির বস্তার ভেতর থেকে জার্মানিতে তৈরি ১টি জি–থ্রি রাইফেল, ২টি ম্যাগাজিন ও ৫০টি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশনসংলগ্ন হোটেল আল করমের সামনে থেকে এসব সরঞ্জামসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার মো. হেলাল উদ্দিন (২৫) একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। তিনি কক্সবাজারের রামু উপজেলার পূর্ব জুমছড়ির গজনিয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গ্রেপ্তারের পর বিকেল পাঁচটার দিকে থানা-পুলিশের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি।

ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা-পুলিশের একটি দল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের জন্য ৭২ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছে। একপর্যায়ে হোটেল আল করমের সামনে পাকা রাস্তার ওপর সুপারির বস্তাসহ দুজন ব্যক্তিকে দেখা যায়। পরে সুপারির বস্তা খুলে গুলি, রাইফেলস ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মো. জুয়েল রানা (৩৫) নামের এক ব্যক্তি পালিয়ে যান। তবে মো. হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মো. হেলাল উদ্দিন অস্ত্রের ব্যাপারে বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

আসামির বরাত দিয়ে ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, মো. হেলাল উদ্দিনসহ পলাতক জুয়েল রানা অস্ত্র ও গুলি অবৈধভাবে কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদসহ পাঁচ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ওই সময় উখিয়া থেকে ২টি ওয়ান শুটারগান (এলজি), ৭৭টি গুলি, ২৪টি গুলির খোসা এবং টেকনাফের বাহারছড়া থেকে ১টি বিদেশি জি–থ্রি রাইফেলস, ১টি ম্যাগাজিন ও ১৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়।