চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ নজরুল ইসলাম আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন। আজ শুক্রবার সশরীর হাজির হয়ে তিনি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দুজন আইনজীবী ছিলেন।
এর আগে তাঁর কর্মী-সমর্থকদের নৈশভোজ আয়োজন করে ভোট চাওয়ার ঘটনায় গত বুধবার প্রথম আলোতে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি নজরুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘনসংক্রান্ত বিষয়ে আজ বেলা ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ ভবন-২-এ সশরীর হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
নজরুল ইসলাম আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি সিনিয়র সহকারী জজ এম সরওয়ার জাহানের দপ্তরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেন। নোটিশের জবাব দেওয়ার পর আদালত ভবন থেকে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কে বা কারা করেছে, আমাদের নলেজে নেই। এগুলোর ব্যাপারে আমরা ফান্ডিং (অর্থ খরচ) করিনি। কিছু মহল আছে, তারা আমাকে হেয়, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব করেছে। আমার ভাই বা আমার কোনো আত্মীয়স্বজন বা আমি কোনোক্রমেই এর সঙ্গে জড়িত নই।’
এ সময় সঙ্গে থাকা নজরুল ইসলামের সমর্থক শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম খান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল আওয়াল গনি বলেন, এই নির্বাচনে তাঁরা আর আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর থাকায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে গত রোববার (১০ ডিসেম্বর) তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।
আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খুশিতে সোম ও মঙ্গলবার শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নজরুল ইসলামের সমর্থকেরা নৈশভোজের আয়োজন করেন। তবে নির্বাচনী আচরণবিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারদের কোনো কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন করা বা উপহার দেওয়া যাবে না।