সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত যাওয়ার যাওয়ার সময় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নীরব হোসেনকে (টুটুল) আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সেখান থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি।
নীরব হোসেনের বাড়ি বরিশাল নগরের নাজির মহল্লায়। তাঁর বাবার নাম হারুন অর রশিদ।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক জানান, তাঁদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল, রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এমন মানুষ ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন। এর ভিত্তিতে সীমান্তের তল্লাশি চৌকিতে বিশেষ নজর রাখা হয়। আজ সকাল ১০টার দিকে নীরব হোসেন ইমিগ্রেশন পার হয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ জুয়েল আহমেদ জানান, তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা এ পথে যেন ভারতে পালিয়ে যেতে না পারেন। তবে দলের সবাইকে তো আর চেনা সম্ভব নয়। আগে থেকে তথ্য না পেলে সবাইকে আটকানো যায় না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দলের এক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় নীরব হোসেনের উত্থান। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বরিশাল নগরের সাবেক মেয়র শওকত হোসেনের (হিরণ) সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালে সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হলে তাঁর সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি করেন নীরব হোসেন। বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, বিভিন্ন ঘাট ও কাঁচা বাজার নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বছর তিনেক আগে তাঁর কয়েকজন সহযোগীকে পুলিশ আটক করে। তখন নীরব হোসেনের নেতৃত্বে বিমানবন্দর ও কাউনিয়া থানায় হামলা চালিয়ে তাঁদের ছড়িয়ে নেওয়া হয়।