কক্সবাজারে মাছ ধরার একটি ট্রলারে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১২ জেলে দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছটার ৬ নম্বর ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ট্রলারমালিক সূত্র জানায়, বিস্ফোরণে আহত ১২ জনের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরা হলেন শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়াপাড়া ও সমিতিপাড়ার বাসিন্দা মো. আইয়ুব (৩১), দিল মোহাম্মদ (৩০), মো. রফিক (২৫), মনির আহমদ (২৬), শফিকুল ইসলাম (২৬), আরমান (২০), রহিম উল্লাহ (৩৭), মো. রহিম (৩০), মো. শাহিদ (৩৫) ও মো. ওসমান (১৯)।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর দুই জেলে হলেন ট্রলারের মাঝি (সারেং) দুলাল চন্দ্র শীল (৩৭) ও জেলে আলী আকবর (৫০)। ট্রলারটির মালিক শহরের নুনিয়াছটা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার পৌরসভার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল ও মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ ধরে ট্রলারের জেলেরা বাঁকখালী নদীর ফিসারিঘাটে আসে। আজ সকাল ১০টার দিকে ট্রলারটি নদীর ফিসারিঘাটের ৬ নম্বর ঘাটে পৌঁছায়। এরপর সাগর থেকে আহরিত মাছ খালাস করা হচ্ছিল ট্রলারটি থেকে। পাশে চলছিল গ্যাসের সিলিন্ডারে রান্না। হঠাৎ বিকট শব্দে সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। তাতে ট্রলারের ১২ জেলে আহত হন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ১০ জনের শরীর ৭০ শতাংশ ঝলসে গেছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুপুরে সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দুজনের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রলারের মাঝি দুলাল চন্দ্র শীল বলেন, ট্রলারের এক পাশে জেলেদের খাওয়ার জন্য তরকারি গরম করা হচ্ছিল। তখন সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে।