টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের পর্যটকবাহী জাহাজ
টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের পর্যটকবাহী জাহাজ

শনিবার থেকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচল বন্ধ, দ্বীপে যেতে পারবেন যেভাবে

মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে চলমান সংঘাতের মধ্যে নিরাপত্তার কারণে আগামী শনিবার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকবে।

বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তাই নিরাপত্তার কারণে নাফ নদী দিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্ট মার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।

টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথ দিয়ে ১০টি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে। সেগুলো হলো কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন, এমভি গ্রিন লাইন-১, এমভি আটলান্টিক, এমভি বার আউলিয়া, এমভি অপরাজিতা, শহীদ সালাম, বে ক্রুজ, এমডি কাজল ও সুকান্ত বাবু চলাচল করে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, মিয়ানমারে গোলাগুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ নৌপথে চলাচলকারী ১০টি জাহাজকে আগামী শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজগুলো ভালোভাবে পর্যটক পরিবহন করে আসছিলেন। ১০টি জাহাজে প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাতায়াত করতেন। কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শনিবার থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে বলেছে।