বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি যদি ক্ষমতাসীন হয়, তাহলে এলাকাবাসীর দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে মহারশি নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যেমন দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কাজ করেছিলেন, ঠিক তেমনি তাঁর সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশের মানুষের কষ্ট লাঘবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের পাগলারমুখ বাজার এলাকায় ত্রাণ বিতরণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা শেরপুর জেলার বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শুধু ত্রাণ বিতরণ নয়; বন্যা–উত্তর পুনর্বাসন কর্মসূচিতেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা কাজ অব্যাহত রাখবেন এবং বন্যা শেষে যত দিন প্রয়োজন হয়, তত দিন পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাবেন।’
অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশকে শুধু একটি একক রাষ্ট্র চিন্তা করলে চলবে না। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যে নদীগুলো ভারতের ভেতর পর্যন্ত অর্থাৎ হিমালয় পর্যন্ত গিয়েছে, সেসব নদীর হিস্যা এবং পানি বণ্টন যদি সঠিকভাবে না হয়, তাহলে গজলডোবায় যখন পানি বাড়ল ইন্ডিয়ানরা তখন বাঁধ খুলে দিল। গজলডোবা বাঁধ খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে ডুবে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। তখন তিস্তার বাঁধের স্লুইচগেট খুলে দিতে হয়েছিল। কাজেই নদীর যে শাসন ও প্রাকৃতিক প্রবাহ, তা আন্তর্জাতিক বিধিমালা অনুযায়ী উজান ও ভাটির উভয় দেশকেই মেনে চলতে হবে। সেই সঙ্গে নদী শাসন ও নদীর পুনর্বাসন এবং পরবর্তী সময়ে নদীর স্রোতকে নিয়ন্ত্রণ করার যদি সামগ্রিক চেষ্টা থাকে, তাহলেই নদীর পানিপ্রবাহ রক্ষা করা সম্ভব হবে।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ (টুকু), ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বন্যাকবলিত এক হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।