রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ সোমবার বিকেলে নগরের সাহেব বাজার এলাকায়
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ সোমবার বিকেলে নগরের সাহেব বাজার এলাকায়

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পদত্যাগের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ সোমবার বিকেলে নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি থেকে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করার দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার বিকেল চারটার দিকে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি সড়ক ঘুরে সাহেব বাজার বড় মসজিদের সামনে এসে সমাবেশ করে। সেখানে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার ও রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী আবদুর রহিম।

সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনি আছেন। ৫ আগস্টের বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে হাসিনা তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। দুই মাস যেতে না যেতেই এখন এমন এক বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এই বক্তব্য দেওয়া মানে আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা। আমরা চাই, অনতিবিলম্বে তাঁকে যেন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করানো হোক এবং তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় বিচারের আওতায় আনা হোক।’

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ফ্যাসিজমের পুনর্বাসন কোনো জায়গাতেই চাই না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি পাননি বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। আজ বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে ওনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল। কারণ, তিনি নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।’

আসিফ নজরুল এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, ‘উনি (রাষ্ট্রপতির) আর এই পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না, সেই সম্পর্কে প্রশ্ন আসে।’