গাজীপুরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে
গাজীপুরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে

ইজতেমায় সংঘর্ষ ও মৃত্যুর দায় উসকানিদাতাদের: সাদপন্থীদের মুখপাত্র

টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন, তার দায় সংঘাতের উসকানিদাতাদের বলে মন্তব্য করেছেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইজতেমা মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন সাদ অনুসারীদের মুখপাত্র মূয়াজ বিন নূর।

সংবাদ সম্মেলনে মূয়াজ বিন নূর বলেন, ‘আজকে ইজতেমা মাঠে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত তিনজন নিহতের খবর পেয়েছি। এটা অত্যন্ত পরিষ্কার যে তাবলিগ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় ব্যক্তিদের একটা সংগঠন। এই মৃত্যুর দায় তাঁরাই নেবেন, যাঁরা এই শান্তিপ্রিয় মানুষদের অশান্ত করে তুলেছেন, যাঁরা সংঘাতের উসকানি দিয়েছেন।’

গাজীপুরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী শুক্রবার থেকে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে পাঁচ দিন ইজতেমা করতে চান মাওলানা সাদের অনুসারীরা। মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা তাঁদের এখানে ইজতেমা করতে দিতে চান না। এ জন্য আগে থেকে ইজতেমা মাঠ দখলে নেন জুবায়ের অনুসারীরা। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে চারদিক থেকে মাঠে প্রবেশ করতে থাকেন সাদের অনুসারীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে মাঠ ছেড়ে দেন জুবায়ের অনুসারীরা।

সাদ অনুসারীদের মুখপাত্র মূয়াজ বিন নূর আরও বলেন, ‘আজ ১৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সরকারের উপদেষ্টারা আমাদের দুই পক্ষের লোকদের নিয়ে বসবেন এবং কোথায় জোড় করতে পারি, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য আমরা মাঠ প্রস্তুতের জন্য সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে আমাদের সারা দেশের সাথিদের ঢাকায় আসতে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের সাথিরা যখন ঢাকায় আসছিলেন, তখন বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের ওপর আক্রমণ করা হয়। এরপর রাত সাড়ে ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে কামারপাড়া ব্রিজের নিচ থেকে আমাদের সাথিদের ওপর ঢিল ছুড়ে আক্রমণ করা হয়। তখন আমাদের সাথিরা তকবির দিয়ে মাঠের ভেতরে ঢুকলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে আমাদের সাথিদের ধাওয়ায় ওই পক্ষ পিছু হটে।’