ফরিদপুরে করা মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে আবু সাঈদ

রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদ
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদের (৬৭) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক তরুণ বাছার শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আবু সাঈদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগও রয়েছে।

ফরিদপুরে মামলাটি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। ফরিদপুর আদালতে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে একই আইনে মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি নামের একটি সংগঠনের পক্ষে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আবু সাঈদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আবু সাঈদকে ব্যাপক পুলিশি পাহারায় ফরিদপুর চিফ জুডিশিয়াল ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় শামীম হকের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

বাদী শামীম হকের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন আইনজীবী অনিমেষ রায়, জাহিদ ব্যাপারী, শাহ মো. জাফর, বদিউজ্জামান, বাবু মোল্লা প্রমুখ। রিমান্ডের বিরোধিতা করে চাঁদের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, আলী আশরাফ, জসীম উদ্দিন মৃধা, শফিক মুন্সী ও ফরিদপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের সিদ্ধান্তের পর আবু সাঈদ চাঁদকে আবার পুলিশি পাহারায় ফরিদপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি অনিমেষ রায় বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ২০ কোটি টাকা মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আবু সাঈদকে আদালতে হাজির করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতা চাঁদকে আদালতে হাজির করার সময় স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

গত ১৯ মে রাজশাহী বিএনপির এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন বিএনপির এই নেতা। এ ঘটনায় গত ২৩ মে ফরিদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০ কোটি টাকার মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক।

এর আগে গত ৬ জুন বিএনপি নেতা আবু সাঈদকে ফরিদপুর আদালতে হাজির করা হয়। ওই দিন শামীম হকের দায়ের করা মামলায় চাঁদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দিন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।