ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

তাঁরা হলে থাকার যোগ্য নন: ফুলপরী

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন
ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত পাঁচজনের আবাসিকতা বাতিল করেছে হল প্রশাসন। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী খাতুন বলছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলে থাকার যোগ্য নন।

হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করতে আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রভোস্টসহ হলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সেখানে ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত হলের তদন্ত কমিটির সদস্যরাও ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচজনের আবাসিকতা বাতিল করা হয়। আগামী ১ মার্চের মধ্যে তাঁদের হল ছাড়তে হবে।

এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন আজ সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা (অভিযুক্ত ব্যক্তিরা) তো হলে থাকার যোগ্য নন। কারণ, তাঁরা হলে থাকলে এ রকম আরও খারাপ কাজ করবেন। তিনি আরও বলেন, এটা পাওয়ার তাঁরা যোগ্য। আরও কিছু পাওয়ার যোগ্য হলে সেটাও পাবেন।

১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।

আবাসিকতা বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা (সেশন: ২০১৭–১৮), চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি (সেশন ২০২০–২১), আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম (সেশন: ২০২০–২১), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম (সেশন: ২০২০–২১) ও একই বিভাগের একই সেশনের মুয়াবিয়া জাহান। তাঁদের শেখ হাসিনা হলের হল সংযুক্তি বাতিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সুপারিশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল প্রশাসন।

এদিকে তদন্তে উঠে এসেছে, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী হালিমা আক্তার তাঁর মুঠোফোন দিয়ে ফুলপরী খাতুনকে বিবস্ত্র করার ভিডিও ধারণ করেছিলেন। তদন্ত কমিটির কাছে হালিমা দাবি করেছেন, তাঁর মুঠোফোনটি হারিয়ে গেছে। হল প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই ফোন উদ্ধারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের সভায়।