আগের উপাচার্যের পদত্যাগের এক মাসের বেশি সময় পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক শুচিতা শরমিনকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। উপাচার্যের মেয়াদ হবে চার বছর। তবে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে উপাচার্য সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। এরপর তিনি গত ২০ আগস্ট পদত্যাগ করেন। এর আগে পদত্যাগপত্র দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবদুল কাইউম ও প্রক্টরিয়াল বডির সাত সদস্য। এক মাসের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়টি উপাচার্য ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছিল। একই সঙ্গে প্রক্টরসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ পদও শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন শুচিতা শরমিন। ২০১১ সালে তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের মেয়ে। তাঁর ভাই জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন ২০১৫ সালে জঙ্গি হামলায় নিহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘নতুন উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন দেখেছি। আমরা আশাবাদী নতুন উপাচার্যের নেতৃত্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা-গবেষণার ব্যাপক প্রসার হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি শাহ সাজেদা। তিনি বলেন, ‘এই প্রথম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় একজন নারী উপাচার্য পাওয়ায় আমরা গর্বিত, আনন্দিত। এটা নারী অগ্রগতির একটি বড় মাইলফলক। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর নেতৃত্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন অনন্য উচ্চতা পাবে।’