রাজশাহীর বাগমারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভবানীগঞ্জ গ্রিন সুপার মার্কেট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার সকালে তাঁদের আদালতে তোলা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সূর্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ছাত্রলীগের উপজেলা পর্যায়ের কর্মী সাজেদুর রহমান এবং গণিপুরের বাসিন্দা ও সংগঠনটির ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা রিফাত মাহমুদ।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে তাঁরা পলাতক ছিলেন। সপ্তাহখানেক আগে সাজেদুর এলাকায় ফিরলে লোকজন তাঁকে মারপিট করেন। পরে তিনি আবার গা ঢাকা দেন। গতকাল রাতে ভবানীগঞ্জ এলাকায় তাঁকে দেখতে পেয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অন্যদিকে হাসনিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন রিফাত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাজেদুর গত ১৮ জুলাই ও ৫ আগস্ট উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জে লোহার পাইপ নিয়ে মহড়া দেন এবং আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেন। তাঁর নেতৃত্বে ১৮ জুলাই ভবানীগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ গেটে ও বাজারে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। শিক্ষার্থীদের মারপিট করে তিনি ছয়জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া গত ৫ আগস্ট লোহার পাইপ নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই দিন পাইপ হাতে নিয়ে বাজারে মহড়া দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়।
পুলিশ আরও জানায়, গত ৫ আগস্ট উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুনছুর রহমানকে চানপাড়া এলাকায় গুলি করা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে সাজেদুর জড়িত। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া ও ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে রিফাতের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুনছুর রহমানকে গুলি করার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।