রায়ের তিন বছর পর নুসরাতের চরিত্র নিয়ে মিথ্যাচার করছে কুচক্রী মহল, অভিযোগ ভাইয়ের

আজ দুপুরে ফেনী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহানের ভাই মাহমুদুল হাসান
ছবি: প্রথম আলো

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যা মামলায় আদালতের রায় ঘোষণার তিন বছর পর একটি কুচক্রী মহল ওই ছাত্রীর চরিত্র নিয়ে মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান। তিনি দাবি করেছেন, মহলটি ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট প্রচারের মাধ্যমে তাঁদের পরিবারকে হেয়প্রতিপন্ন করছে এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আজ রোববার দুপুরে ফেনী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মাহমুদুল হাসান।

অন্যদিকে নুসরাত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির পরিবারের পক্ষ থেকে আজ দুপুরে ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে একটি মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে আসামিদের পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এতে নুসরাত হত্যা মামলাটি পুনরায় তদন্ত ও ‘নির্দোষ’ আসামিদের ‘ফাঁসানোর’ জন্য সংশ্লিষ্ট পিবিআই কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করা হয়।

প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান বলেন, একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে তাঁর বোনের চরিত্রহনন করে ও নানা পন্থা অবলম্বন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আদালতের রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। নুসরাত ছিল অত্যন্ত সাহসী, মেধাবী ও প্রতিবাদী স্বভাবের একজন শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে ওই ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘আমি নুসরাতের বক্তব্য মুঠোফোনে রেকর্ড করি। এমনকি আমার বোন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে (আইসিইউ) যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল, তখনো ডাক্তারের কাছে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দেয়।’ অথচ কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচারে নেমেছে বলে অভিযোগ করেন মাহমুদুল।