হামলায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার রাতে
হামলায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার রাতে

নওগাঁয় দুর্বৃত্তের হামলায় বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী আহত

নওগাঁয় দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন ভাইসহ বিএনপির ৪ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত ব্যক্তিরা হলেন আফজাল হোসেনের ছেলে আবদুল মজিদ (৬০), কাবিল হোসেন (৫২) ও শফিকুল ইসলাম (৪৫) এবং নওগাঁ পৌরসভার রজাকপুর এলাকার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম (৩৫)। আহত আফজাল নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য।

আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত ব্যক্তিদের তিনজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টার দিকে আবদুল মজিদ, তাঁর ভাই কাবিল হোসেন ও শফিকুল এবং তাঁদের দোকানের কর্মচারী রেজাউল দোকান বন্ধ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে আসা অস্ত্রধারী তিনজন গুলি চালায় ও দেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় তাঁরা মোটরসাইকেল ও হামলায় ব্যবহৃত একটি আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে যায়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপি নেতা আবদুল মজিদ গুলিবিদ্ধ হন। অন্যদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হামলাকারীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি শটগান উদ্ধার করেন।

বোয়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাহবুব হাসান জানান, আহত ব্যক্তিরা সবাই বোয়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা–কর্মী। হামলাকারীরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আওয়ামী লীগের এক ক্যাডারের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, হামলার এই ঘটনা পূর্বশত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে থাকতে পারে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন জানান, হামলার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া শটগান ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।