রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব শিক্ষার্থী না হয়েও নিজেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্সের ছাত্র বলে পরিচয় দিতেন। তবে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্নাতকের (অনার্স) সনদে অসংগতি থাকায় গত সেপ্টেম্বরে আসাদুল্লা-হিল-গালিবের ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন আসাদুল্লা-হিল-গালিব। প্রথম বর্ষে উত্তীর্ণ হলেও দ্বিতীয় বর্ষ আর টপকাতে পারেননি তিনি। পরে ছাত্রত্ব হারিয়েছেন। পরে তিনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সের ছাত্র বলে দাবি করতেন। এই পরিচয়ে গত বছরের অক্টোবরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গালিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভুয়া সনদ’ দেখিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তির আবেদন করেছিলেন।
সাংবাদিকতা বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লা-হিল-গালিব গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জুলাই ২০২১ সেশনের ছাত্র (আইডি নম্বর: ২৩১০০৪৬২১০) হিসেবে ভর্তির আবেদন করেছিলেন। তবে তাঁর জমাকৃত অনার্সের সার্টিফিকেটে অসংগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিষয়টি যাচাইপূর্বক ২০২৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স প্রোগ্রামের জরুরি সভায় ভর্তি বাতিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি কয়েকটি গণমাধ্যমে এই মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লা-হিল-গালিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ভুয়া সনদে’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সান্ধ্য মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছেন, যা আংশিক ও অসম্পূর্ণ তথ্য।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লা-হিল-গালিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিছু জানা নেই। আমার কাছে বিভাগের প্রত্যয়নপত্র আছে।’