সিলেটের গোলাপগঞ্জে গতকাল রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরেকজন নিহত হয়েছেন। গতকাল ৫ জন নিহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা হলো ৬।
গতকাল রাত ৯টার দিকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান আহমদ (২০) নামের গুলিবিদ্ধ তরুণের মৃত্যু হয়। তিনি গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণের রায়গড় গ্রামের মৃত সরই মিয়ার ছেলে।
হাসানের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে তাঁর ভাই মনসুর আলম বলেন, হাসান গোলাপগঞ্জের ঢাকাদক্ষিণ বাজারে টেইলার্সের কাজ করতেন। গতকাল দুপুরে ঢাকাদক্ষিণ বাজার এলাকায় সংঘর্ষ হলে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে বিকেলে তাঁকে সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল গোলাপগঞ্জ ও একই উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজারে দুপুর ১২টা থেকে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এতে নিহতরা হলেন গোলাপগঞ্জের দত্তরাই গ্রামের মিনহাজ আহমদ (২৬), নিশ্চিন্ত গ্রামের নাজমুল ইসলাম (২২), সানি আহমদ (১৮) ও তাজ উদ্দিন (৪০), গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ঘোষগাঁওয়ের গৌছ উদ্দিন (২৯) ও ঢাকাদক্ষিণ রায়গড়ের হাসান আহমদ (২০)। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গোলাপগঞ্জের আহত ১১ জন চিকিৎসাধীন আছেন।