ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও তাঁকে কর্মস্থলে পুনবর্হালের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা–কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এর আগে বুধবার রাতে সদরপুর উপজেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা ইউএনও আল মামুনকে প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও মৌখিক প্রত্যাহারের আদেশ ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ঘটনা যাচাই করেন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তাঁরা।
ইউএনও আল মামুনের বিরুদ্ধে ‘আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে’ বলে মন্তব্য করার অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। গতকাল দুপুরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ ওঠার পর ইউএনওকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান। তবে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা আজ সকালে জানান, এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার ও ইউএনওকে কর্মস্থলে পুনবর্হালের দাবিতে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। এ কর্মসূচিতে সদরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কাজী বদরুজ্জামান, সদরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুনশী ইশারত, যুগ্ম আহবায়ক আবদুর রাজ্জাক খান, যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাহালুল মাতুব্বর, সদরপুর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সদরপুর উপজেলার ইউএনও আল মামুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করে তাঁকে নিজ-কর্মস্থলে পুনরায় বহাল রাখা হোক।
এ বিষয়ে ইউএনও আল মামুন বলেন, ‘গত ৩০ নভেম্বর সদরপুর উপজেলা সম্মেলনকক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওখানে ছাত্রদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাও উপস্থিত ছিলন। তাঁরা সবাই জানেন আমি এ–জাতীয় কোনো কথা বলিনি। কেন ওই ছাত্রনেতা (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান) আমার বিরুদ্ধে এ–জাতীয় অভিযোগ করেছেন, তা আমার বোধগম্য নয়।’
আল মামুন আরও বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত প্রত্যাহারজনিত কোনো নির্দেশনা পাইনি। আমার এডিসি পদে পদায়নসহ গাইবান্ধা জেলায় বদলি হয়ে আছে। ৩০ ডিসেম্বর ওই পদে আমার যোগ দেওয়ার কথা।’