‘ক্যারি অন’ চালু রাখা ও সিজিপিএ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে
‘ক্যারি অন’ চালু রাখা ও সিজিপিএ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে

‘ক্যারি অন’ চালু রাখা ও সিজিপিএ বাতিলের দাবিতে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ক্লাস বর্জন

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ‘ক্যারি অন’-ব্যবস্থা চালু রাখা ও সিজিপিএ-পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ক্লাস বর্জন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, এত দিন কোনো শিক্ষার্থী একটি বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও পরের বর্ষের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারতেন। সে ক্ষেত্রে অকৃতকার্য হওয়া বর্ষের পরীক্ষায় আবারও অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হতো। এ ব্যবস্থাকে ‘ক্যারি অন’ বলা হয়। তবে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন পাঠ্যসূচি অনুযায়ী এ ব্যবস্থা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। পাঠ্যসূচিতে আরও বলা হয়, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য সিজিপিএ চালু করা হবে।

শিক্ষার্থীরা বিএমডিসির এসব সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গত ১ সেপ্টেম্বর প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর বিএমডিসির সামনে আন্দোলন করলে ৪৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা জানায় বিএমডিসি। গত ২৭ অক্টোবর ৪৫ দিন শেষ হলেও কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এতে গত মঙ্গলবার সারা দেশের মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিএমডিসির সামনে জড়ো হয়ে বিএমডিসি ভবন তালাবদ্ধ করে দেন। পরে বিএমডিসির পক্ষ থেকে আবারও এ বিষয়ে সভা ডাকার আশ্বাস দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, যেকোনো কারণে একজন শিক্ষার্থী একটি বর্ষের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হতেই পারেন। এ জন্য একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সময় বেড়ে সাত থেকে আট বছরও লাগতে পারে। এতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন এবং বৈষম্য সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া বিএমডিসি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য সিজিপিএ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি মোটেও যৌক্তিক নয়। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য পাস নম্বর হচ্ছে ৬০ শতাংশ। সিজিপিএ চালু হলে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হবে। ভবিষ্যতে দেখা যাবে, উচ্চ সিজিপিএপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসক নিজের পেশায় দক্ষ না–ও হতে পারেন। এতে চিকিৎসা পেশায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা তৈরি হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁদের এ যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি মানা না পর্যন্ত ক্লাস বর্জন চলবে এবং আরও কঠোর আন্দোলন হবে।