ওএমএসের চাল পাচারের অভিযোগে যুবলীগ বিরামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আবু হেনা মো. মোস্তফা কামালকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুবলীগ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রাশেদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় বিরামপুর শহরের কলেজ বাজার এবং ঢাকা মোড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একটি পক্ষ মিষ্টি বিতরণ করেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে বিরামপুর উপজেলা যুবলীগ সভাপতির ব্যক্তিগত গুদাম থেকে খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল পাচারকালে ৫৪০ কেজি চাল আটক করেছিলেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁরা চালগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকারের কাছে জমা দিয়েছিলেন। সরকারি চাল পাচারের ঘটনায় ওই দিন বিকেলে দিনাজপুর জেলা খাদ্য অধিদপ্তর ও বিরামপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল প্রশাসন। এ বিষয়ে শুক্রবার প্রথম আলোয় ‘পাচারের অভিযোগে চাল জব্দ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
এ বিষয়ে যুবলীগ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রাশেদ পারভেজ মুঠোফোনে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য ওএমএসের চাল দিচ্ছেন। আর এটি সুষ্ঠুভাবে বিক্রি করার জন্য বিরামপুর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোস্তফা কামালকে ওএমএসের ডিলারশিপ দিয়েছেন। তিনি সেই চাল সাধারণ মানুষকে না দিয়ে গোপনে তাঁর বাড়িতে পাচারের চেষ্টা করেছেন। এটির মাধ্যমে তিনি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপ করেছেন। এ জন্য যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে মোস্তফা কামালকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে টাকা ঋণ করে দেশের মানুষের জন্য ভর্তুকি দিচ্ছেন, সরকার ৬৫ টাকা কেজির চাল ২৮ টাকায় খাওয়াচ্ছে। আর এ সুযোগে ওএমএসের চাল পাচার করে যুবলীগ সভাপতি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। তাঁর কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার।