গাইবান্ধা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। ছবি: প্রথম আলো
গাইবান্ধা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। আজ মঙ্গলবার গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। ছবি: প্রথম আলো

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া হবে: শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া হবে। দেশে দখলবাজি ও চাঁদাবাজি চলবে না। দখলবাজ, চাঁদাবাজমুক্ত দেশ গড়তে নেতা-কর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে শফিকুর রহমান এ কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা জেলা শাখা এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল করিম।

সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, ‘সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচন সংস্কার কমিটি হয়েছে। তারা কাজ করছে। নির্বাচনের জন্য আমরা অনেক ধৈর্য ধরেছি। আরও কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরতে পারব। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী বছরের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচনের কাজ করতে সংস্কার কমিশনের আরও এক বছর সময় লাগবে। আমরা দেখতে চাই, তাঁরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবেন। সংস্কারকাজে জামায়াত সহযোগিতা করবে।’

ক্ষমতায় গেলে সব ক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে কর্মক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে যে তিনটি ডামি নির্বাচন করেছেন, জনগণ সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে।

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার বিষয়ে জামায়াতের আমির বলেন, তৎকালীন সরকারের আমলে শাপলা চত্বরে রক্তের বন্যা বইয়ে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তদন্ত কমিটি হয়েছে। সেই তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি। সে বিচার আজও হয়নি। এ ঘটনায় নাটক সাজিয়ে তার দায়ভার বিরোধী দলের ওপর দেওয়া হয়েছে।

জামায়াতের আমির আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানদের ওপর কারা কারা অত্যাচার করেছে, তাদের সম্পত্তি কারা দখল করেছে, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সেসব বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত করে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। যারা দোষী, তাদের বিচার করা হবে।

গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা–কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন। এতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মমতাজ উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আবদুর রহিম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।