কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ওই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও তাঁর দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হোক।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত তদন্ত প্রতিবেদন খোলার পর আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সভায় ১১ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ওই কমিটির সদস্যসচিব প্রক্টর শাহাদত হোসেন।
সভা থেকে বের হয়ে প্রক্টর শাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং হাইকোর্টের নির্দেশে অভিযুক্ত পাঁচজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের নোটিশ দেওয়া হবে। কেন তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না—এ মর্মে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দাবি, যাঁরা আমার সঙ্গে এ রকম খারাপ কিছু করেছেন, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে দিক আজীবনের জন্য।’ তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, সেটা ফৌজদারি অপরাধ। ফৌজদারি মামলার মাধ্যমে তাঁদের সুষ্ঠু বিচার হোক। আমি এটা আশা করি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাবি জানাই।’
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটাকে সাধুবাদ জানাই। অপরাধ কেউ করলে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে। এটা ব্যক্তির দায়। সংগঠন কখনোই দায় নেবে না। আর ফুলপরী আমাদের বোন। তাঁর প্রতি খেয়াল থাকবে। যদি শুনতে পারি, তাঁর কোনো প্রয়োজন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সব সময় তাঁর পাশে আছে, থাকবে।’
ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতা–কর্মীরা আন্দোলন করে আসছেন। সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ইমানুল সোহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ সিদ্ধান্তে খুশি না। আবার আন্দোলনে যাব। সাত দিনের মধ্যে স্থায়ী বহিষ্কার না হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তাঁদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতেই হবে।’