শরীয়তপুরে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় গরু ব্যবসায়ী গনি সিকদারকে (৫৫) পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গনি সিকদারের ভাই মজিদ সিকদার বাদী হয়ে গতকাল বুধবার রাতে নড়িয়া থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আলিম সিকদার ও মিলন সিকদার নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল সকাল আটটার দিকে নড়িয়া পৌরসভার পশ্চিম লোনসিং এলাকায় গনি সিকদারকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। আহত গনি সিকদার নড়িয়ার মোক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকা প্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা। উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বজনেরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গনি সিকদার বিভিন্ন হাট-বাজার ও গ্রাম থেকে গরু কেনাবেচার কাজ করেন। তাঁর চাচাতো ভাই আবদুল আলী সিকদারের সঙ্গে তাঁর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। বিরোধ মেটাতে বিভিন্ন সময় স্থানীয়ভাবে সালিসও হয়েছে। গতকাল সকালে গনি সিকদার গরু কেনার জন্য দুই লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সকাল আটটার দিকে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে নড়িয়া পৌরসভার পশ্চিম লোনসিং এলাকায় পৌঁছালে আবদুল আলী সিকদার, তাঁর ছেলে আশিক সিকদার, মোরশেদ সিকদারসহ কয়েকজন গনি সিকদারকে মারধর করেন। হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর ডান পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।

গনি সিকদারের জামাতা বাদল মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার শ্বশুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার (অপারেশন) করতে হবে। তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক। তাঁর এমন অবস্থায় আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।