কালীগঞ্জের রঘুনাথপুর বাজারে আনোয়ারুল আজীমের হত্যাকারীদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে কথা বলেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস (ডরিন)। বুধবার সকালে
কালীগঞ্জের রঘুনাথপুর বাজারে আনোয়ারুল আজীমের হত্যাকারীদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে কথা বলেন তাঁর মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস (ডরিন)। বুধবার সকালে

‘আমাকে এতিম করে সান্ত্বনা দেয়, তোমার পাশে আছি’

‘যারা আমার বাবাকে হত্যা করেছে, তারাই আবার সান্ত্বনা দেয়, তোমার পাশে আছি। ওরা আমাকে এতিম করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার বাবার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবেন বলে কথা দিয়েছেন।’

আজ বুধবার সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আয়োজিত মানববন্ধনে কথাগুলো বলছিলেন কলকাতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ-সদর একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস (ডরিন)।

কালীগঞ্জের রঘুনাথপুর বাজারে আনোয়ারুলের হত্যাকারীদের শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে রাখালগাছি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।

মুমতারিন ফেরদৌস বলেন, ‘বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমি কাউকে দোষারোপ করিনি। শুধু বাবার হত্যার বিচার চেয়েছি। পুলিশের প্রয়োজনে পুলিশ অনেককে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে, কারা আমার বাবার প্রকৃত খুনি। আজ আমার বাবা নেই। আমি বুঝি, বাবা হারানোর যন্ত্রণা।’

রাখালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মহিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে মানববন্ধনে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারমান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক, কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, আওয়ামী লীগের নেতা রাশেদ সমশের প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম কত জনপ্রিয় ছিলেন, সেটা আজকের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বোঝা যায়। তাঁরা ধারণা করছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে যে বা যাঁরাই জড়িত থাকুক, তাঁদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।