গাজীপুরের শ্রীপুরের পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি পিকনিকের বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এ ঘটনা ঘটে।
আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বাস থেকে নেমে যাওয়ায় ৪০ শিক্ষার্থী প্রাণে বেঁচে যায়। খবর পেয়ে আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার গাজীপুর অক্সফোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৪০ শিক্ষার্থী পিকনিক শেষে শৌখিন এক্সপ্রেসের ওই বাসে করে বাড়িতে ফিরছিল। সকালে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্কে পিকনিকে গিয়েছিল তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় হঠাৎ বাসটিতে ধোঁয়া দেখতে পেয়ে বাসটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে থেমে যায়। এর মধ্যে বাসটিতে আগুন লেগে যায়। তবে বাস থামানোর সঙ্গে সঙ্গে সব শিক্ষার্থী নেমে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকামুখী লেনে পুড়ে যাওয়া বাসটি কিছুটা আড়াআড়িভাবে দাঁড় করানো। বাসের ভেতরে আসনসহ বেশির ভাগই পুড়ে গেছে। পাশে সড়কে পড়ে আছে বাসে টাঙানো পিকনিকের ব্যানার।
বাসের যাত্রীদের বরাত দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মোড় এলাকার বাসিন্দা মো. মেজবাহুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বাসের ভেতরে জেনারেটর দিয়ে বড় স্পিকার বাজানো হচ্ছিল। মাওনা চৌরাস্তা প্রবেশের আগেই হঠাৎ জেনারেটর থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হয় এবং জেনারেটর ও স্পিকার বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর ধোঁয়া বের হতে থাকে। এরপর বাসটি থামিয়ে সবাই নিচে নেমে যান। আগুন লাগার পর বাসের চালক ও তাঁর সহকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মাওনা হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যানবাহনে করে বাড়িতে পাঠানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী রুহুল আমিন বলেন, ‘আগুন দেখতে পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এসে দেখতে পাই শিক্ষার্থীরা দৌড়ে বাস থেকে নামছে। কিছুক্ষণের মধ্যে বাসটিতে আগুন ধরে যায়। এরপর আমরা আশপাশ থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি।’
গাজীপুর অক্সফোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের কাউকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় তাঁদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি কঙ্কন কুমার বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ বাসে আগুন লাগে। শুনেছেন জেনারেটর থেকে আগুন লেগেছে। তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যানবাহনে করে তাঁরা বাড়িতে পাঠিয়েছেন।