নড়াইলের কালিয়ার দিনমজুর ফরিদ শেখ হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলমাস হোসেন মৃধা আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. সালাম শেখ (৪২)। তিনি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বেন্দারচর গ্রামের হাসেম শেখের ছেলে। সালাম শেখ পলাতক রয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার সীতারামপুর গ্রামের ফরিদ শেখের স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন সালাম শেখ। এ ব্যাপারে সালামের পরিবার ও আশপাশের মানুষদের কাছে অভিযোগ করলে ফরিদের ওপর ক্ষিপ্ত হন সালাম। ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল সালাম বোরকা পরে হাতে ছুরি নিয়ে ফরিদদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালান। সে যাত্রায় প্রতিবেশীরা এসে সালামকে আটক করলে ফরিদ বেঁচে যান। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়। সালাম শেখকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। জামিনে বের হয়ে ২০১৬ সালের ২৪ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সালাম কালিয়া ডাকবাংলোর সামনে ফরিদকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ফরিদকে উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত ছুরিসহ সালাম শেখকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
জামিনে বের হয়ে সালাম কালিয়া ডাকবাংলোর সামনে ফরিদকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন।
এ ঘটনায় ফরিদের বাবা আনসার শেখ বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ২৬ জুন কালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সালাম শেখসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চারজনকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সালাম শেখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে আত্মগোপন করেন সালাম শেখ।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) এমদাদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ আদালত সালাম শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। সালাম শেখ পলাতক রয়েছেন। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করেছেন।