চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকি সমুদ্রসৈকতকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে পারকি সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যের পাশাপাশি পর্যটকদের সুযোগ–সুবিধা বাড়বে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সমুদ্র সৈকতে কিটকট স্থাপন, গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা তৈরি; অস্থায়ী বিচ-মার্কেট, ফুড-কোর্ট, কফি জোন, কিডস জোন নির্মাণ; বিচ বাইক জোন তৈরি করা; শৌচাগার নির্মাণ, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার চালু, পারকি থেকে পতেঙ্গা যাতায়াতের সুবিধা বাড়াতে জেটি নির্মাণ এবং সৌরবাতির ব্যবস্থা করা। এরই মধ্যে যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পারকিতে যাওয়ার প্রধান সড়কটিতে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
আনোয়ারার ইউএনও মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য পারকি সমুদ্র সৈকতকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পারকি সৈকতসংলগ্ন ১৩ দশমিক ৩৩ একর জায়গায় শুরু হয় ৭৯ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটির কাজ বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যেই নতুন করে উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ারা উপকূলকে রক্ষা করার জন্য পারকি সৈকতের বালিয়াড়িতে ১৯৯২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চার ধাপে ৯৭ একর জায়গায় লাগানো হয়েছে ঝাউগাছ। এই সবুজবেষ্টনী পারকি সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে উপকূলকে রক্ষা করছে। সৈকতের ঝাউবাগানে বসে জাহাজের আসা-যাওয়ার দৃশ্যের পাশাপাশি লাল কাঁকড়ার দৌড়াদৌড়ি দেখা যায়।