বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য ঘোষিত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে হিরো আলম আপিল আবেদন দাখিল করেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের সভাপতি কাজী রেজাউল হোসেনসহ তিনজন আইনজীবী তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
হিরো আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপিল গ্রহণের পর শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আমাকে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে ন্যায়বিচার না পেলে উচ্চ আদালতে যাব। প্রার্থিতা ফিরে পেতে শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’
এর আগে সংসদীয় আসন দুটির প্রতিটিতে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিলের কারণ দেখিয়ে গত রোববার দুপুরে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামে একসময় সিডি বিক্রি করতেন হিরো আলম। সিডির ব্যবসা যখন চলছিল না, তখন কেব্ল সংযোগের ব্যবসা শুরু করেন। সেই ব্যবসার সুবাদে তিনি মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন। ইউটিউবে প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন হিরো আলম।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন হিরো আলম। যাচাই-বাছাইয়ের দুই দফায় তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। উচ্চ আদালতে গিয়ে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। ভোটের দিন তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন হিরো আলম।
দলীয় সিদ্ধান্তে দুটি আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি।