কারাগার
কারাগার

সাতক্ষীরায় তিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ সাতজন রিমান্ড শেষে কারাগারে

সাতক্ষীরায় পুলিশের করা মামলায় সাত আসামিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী আছেন। সদর থানায় ঢোকার চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এ মামলা করে।

এদিকে আরও ছয় আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ বিকেলে জেলা কারাগার থেকে সদর থানায় আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীও রয়েছেন।

রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের ইমরান হোসেন ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী কাজী সাকিব হাসান। সদর উপজেলার কাটিয়ার শাহরুখজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার চাকলা গ্রামের মঈনুল ইসলাম। দেবহাটা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন, জগন্নাথপুর গ্রামের দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম হোসেন ও জাহিদ হোসেন।

আর জেলা কারাগার থেকে রিমান্ডে নিয়ে আসা আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছার এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাসিন ফারহান, পলাশপোলের মাহি রহমান, মাহমুদপুরের রাকিবুল ইসলাম, মধুমোল্লাডাঙির নাফিজুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার দেবী শহরের আসাদুল্লাহ ও একই উপজেলার হাদিপুরের অলিউর রহমান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুলাই সদর থানা ঘেরাও করার সময় পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় দুই সহকারী উপপরিদর্শক ও এক কনস্টেবল জখম হন। এ ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক ব্রজ কিশোর পাল বাদী হয়ে পরদিন থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোল্লা মো. আবদুস সেলিম ১৯ জুলাই আদালতে প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক জিয়ারুল ইসলামসহ ৩ জনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাদের শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর ১৩ জনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে সাত আসামিকে থানা-পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। একইভাবে বাকি ছয় আসামিকে আজ বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা কারাগার থেকে থানা-পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।