গত কয়েক দিন জয়পুরহাটে টানা বৃষ্টির পর আজ শুক্রবার শরতের সকালের আবহাওয়া অন্য রকম। ঝকঝকে নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে। চারদিকে ঝলমলে সোনালি রোদ। এর মধ্যে দল বেঁধে কৃতী শিক্ষার্থীরা আসছিল জয়পুরহাট শহরের উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে। সেখানে তাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে জিপিএ-৫ সংবর্ধনার।
আজ সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের মোহাম্মদ মুজিবর রহমান ঢালী স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হয় শিখো-প্রথম আলো কৃতী সংবর্ধনা। এর আগে শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও স্ন্যাকসের বক্স তুলে দেন বন্ধুসভার সদস্যরা।
সংবর্ধনায় অংশ নিতে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জয়পুরহাট জেলা থেকে ৬৪৬ জন জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থী অনলাইনে নিবন্ধন করেছে। দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় পর্যায়ক্রমে জিপিএ-৫ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই ‘বিকাশ’। সহযোগিতা করছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউসিএনআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।
সকাল ১০টার দিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর জয়পুরহাট প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম। কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিতে অনুষ্ঠানে এসেছেন জয়পুরহাট সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান মো. কাউসার, জয়পুরহাট রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক, জয়পুরহাট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন ও প্রথম আলোর রংপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক আরিফুল হক।
পাঁচবিবি উপজেলার বড় মানিক গ্রামের সাদিয়া আক্তার তার মা তানিয়া পারভীনকে নিয়ে এসেছে। সে বলে, ‘কখন সকাল হবে, তার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সকালে মাকে সঙ্গে নিয়ে চলে এসেছি। আমার খুব ভালো লাগছে।’
কালাই উপজেলার মাত্রাই থেকে অটোরিকশায় করে চার সহপাঠীর সঙ্গে এসেছে নাজমা আক্তার। চারজনই জয়পুরহাট সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে। তারা বলে, ‘আমরা চার বান্ধবী একসঙ্গে এসেছি। সংবর্ধনায় এসে খুব মজা লাগছে।’