পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার শশিদ গ্রামে সুবল দেবনাথ নামের ৩৩ দিন বয়সী এক শিশুকে ড্রামের মধ্যে ফেলে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় শিশুটির চাচিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ওই নারীর নাম লিপি দেবনাথ (৩০)। মারা যাওয়া সুবল দেবনাথ শশিদ গ্রামের কৃষক সুকান্ত দেবনাথের ছেলে। গ্রেপ্তার লিপি দেবনাথ একই গ্রামের সুকান্ত দেবনাথের মেজ ভাই সুমন্ত দেবনাথের স্ত্রী।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুকান্ত দেবনাথ ও সুমন্ত দেবনাথ একই বাড়িতে বসবাস করেন। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে শিশু সুবল দেবনাথকে ঘরের খাটে রেখে তার মা নমিতা দেবনাথ বাড়ির পাশের খালে থালাবাসন ধুতে যান। এ সময় শিশুটির চাচি লিপি দেবনাথ ঘরে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে নমিতা দেবনাথ ছেলেকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খবর পেয়ে শিশুটির বাবা সুকান্ত দেবনাথ মাঠ থেকে বাড়ি চলে আসেন। সবাই খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে চাচা সুমন্ত দেবনাথ ঘরের বারান্দায় পানিভর্তি ড্রামের মধ্যে শিশু সুবলকে খুঁজে পান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির বাবা, মা ও চাচা-চাচিকে থানায় নিয়ে যায়। এরপর শনিবার রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় লিপি দেবনাথকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নেছারাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সোলায়মান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ থেকে শিশুটিকে ড্রামের পানির মধ্যে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার লিপি দেবনাথকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।