সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় দুটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর তালার জালালপুর ও সরুলিয়া ইউনিয়নে বিয়ে দুটির আয়োজন করা হয়েছিল।
জালালপুর ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ আয়োজন করার দায়ে কনের বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিন। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ বেলা দুইটার দিকে জালালপুর ইউনিয়নে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৩) সঙ্গে একই এলাকার উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের (১৯) বিয়ের আয়োজন করে দুই পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের একাধিক কর্মকর্তা ও পুলিশ পাঠানো হয়। জন্মসনদে তাঁরা দেখেন, কনের বয়স ১৩ ও বরের বয়স ১৯ বছর।
এ সময় বর সেখানে থেকে পালিয়ে যান। পরে কনে ও কনের মা–বাবাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নেওয়া হয়। বিকেল চারটার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া শারমিন বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ১৮ বছর বয়সের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে ওই ছাত্রীর বাবা মুচলেকা দেন।
এদিকে সুরুলিয়া ইউনিয়নে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৫) বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে আজ দুপুরে সেখানে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবের একাধিক কর্মকর্তা ও পুলিশ পাঠানো হয়। ওই বাড়িতে গিয়ে কনের জন্মসনদ দেখতে চান তাঁরা। জন্মসনদে দেখা যায়, কনের বয়স ১৫ বছর।
ঘটনাস্থলে পুলিশসহ অন্যদের উপস্থিতির খবর পেয়ে বরপক্ষ মাঝপথ ফিরে যায়। পরে কনের বাবা ভুল স্বীকার করে ১৮ বছর বয়সের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন।