পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আসামি গ্রেপ্তারে গড়িমসির অভিযোগ

ধর্ষণ
প্রতীকী

সিলেটে দুই কিশোরী বাউলশিল্পীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত কিশোরীর মায়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাউলশিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট সিলেটের সভাপতি শাহ তোফাজ্জল ভান্ডারি।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৩১ অক্টোবর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস গ্রামের মো. ফয়জুল ইসলামের (৪২) সঙ্গে উপজেলার পুটামারা গ্রামের ভানু দাসের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য ভুক্তভোগী দুই শিল্পীর চুক্তি হয়। ২ নভেম্বর ওই অনুষ্ঠান ছিল। চুক্তি অনুযায়ী ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে শিল্পীরা অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বের হয়। কিন্তু তাদের গানের অনুষ্ঠানে না নিয়ে জালালাবাদ থানার শিবেরবাজার এলাকার বাছনা বিলে নিয়ে ফয়জুল ও তাঁর সঙ্গীরা দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে নির্যাতিত কিশোরীদের উদ্ধার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় ৩ নভেম্বর ভুক্তভোগী শিল্পীর মা বাদী হয়ে ফয়জুল ও ফটিক ইসলামের (৪৫) নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ ছাড়া আরও পাঁচ–ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার পর এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ গড়িমসি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান প্রথম আলোকে বলেন, মামলার পরের দিন এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।