নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছর পর চালু হলো অপারেশন থিয়েটার (ওটি)। আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছেলেশিশুর জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি। বর্তমানে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে স্থাপিত হয় বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। সম্প্রতি তা ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু এত দিনে ওটি চালু হয়নি। আজ এক প্রসূতির অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে তা চালু করা হয়।
সদ্য জন্ম নেওয়া আসমা ইউনিয়নের লাউফা গ্রামের নবজাতকের বাবা হীরা মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে প্রথম সিজার হয়েছে। এ জন্য প্রথমে কিছুটা ভয়ে ছিলাম। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে সিজার সম্পন্ন হওয়ার পর খুবই আনন্দিত হয়েছি। আর এ কাজটির পুরো কৃতিত্বই চিকিৎসকদের। আমাদের মতো গরিব মানুষের জন্য এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।’
বারহাট্টার গোপালপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌস আহমেদ বলেন, কোনো প্রসূতি মায়ের অবস্থার অবনতি হলে বা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে আগে জেলা শহর নেত্রকোনা ও বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহ যাওয়া ছাড়া বিকল্প উপায় ছিল না। বর্তমানে হাতের নাগালে এ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই অস্ত্রোপচারের সেবা পাওয়া যাবে। এ ব্যবস্থা আরও বেগবান করতে ও মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।
বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছর পর প্রথম সিজারে আমরা সফল হয়েছি। হাসপাতালের সব চিকিৎসক ও নার্স সহযোগিতা করেছেন। ওটি শেষে প্রসূতিসহ নবজাতককে হাসপাতালের কেবিনে রাখা হয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এখানেই প্রসূতি এবং নবজাতককে সেবা দেওয়া হবে।’