যশোরে সরকারি কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করলেন যুবলীগ নেতা–কর্মীরা

যশোর জেলার মানচিত্র
যশোর জেলার মানচিত্র

যশোর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহবুব রহমান ওরফে ম্যানসেলের (৩৬) নেতৃত্বে যুবলীগের কর্মীরা জেলা প্রতিবন্ধীবিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিনকে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বিকেল তিনটার দিকে জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মুনা আফরিন বাদী হয়ে আজ বিকেলেই কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় মেহবুবসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মেহবুব রহমান যশোর ষষ্ঠীতলাপাড়া এলাকার মো. আলমাসের ছেলে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন শহরের রাকিব হোসেন ওরফে ভাইপো রাকিব, অনিক হাসান ওরফে মেহেদী হাসান ও মীর সাদী। সবার বাড়ি যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেহবুব রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। অপর তিনজনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। বিকেলে পুলিশ ওই চারজনকে আদালতে হাজির করলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট পলাশ কুমার তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা একটার দিকে মেহবুব নামের একজন প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যান। রেজিস্ট্রেশন করার পর তাঁকে ব্যায়াম দেখানো হয়। ব্যায়ামের পর একটি মেশিনে তাঁর থেরাপি নেওয়ার কথা ছিল। প্রতিষ্ঠানের কর্মী আল আমিন ওই মেশিন প্রস্তুত করে দেন। এ সময় কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা মুনা আফরিন আল আমিনকে ডাক দিলে তিনি মেশিনটি চালু না করে দিয়েই চলে যান। এরপর মেহবুব ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন আল আমিনকে ডেকে মারধর করেন। চিৎকার শুনে মুনা আফরিন নিচে নেমে এলে তাঁর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়। এ সময় তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেন মেহবুবের সঙ্গে থাকা লোকজন। অবশ্য পরে তাঁরা মুঠোফোনটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি অফিসে ঢুকে কাজে বাধা দেওয়া, কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত, কর্মচারীকে মারপিট ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মেহবুব ম্যানসেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত তিনজনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সবাই পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাঁদের নামে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাসহ মামলা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পুলিশ মেহবুব রহমানকে তাঁর বাড়ি থেকে ধরে ছাদে নিয়ে পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করেন। এতে মেহবুবের একটি পা কেটে ফেলতে হয়। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে মেহবুবের পায়ে গুলি লাগে।