জাহাঙ্গীর আলমের কোনো কথা বিবেচনায় নিই না: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক
ছবি: প্রথম আলো

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুরে তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তবে তাঁর কোনো কথা বিবেচনায় নিচ্ছেন না গাজীপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেছেন, ‘গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কোনো কথা আমি বিবেচনায় নিই না। তাঁর কথা বিবেচনা করার মতো লোক তিনি এখনো হননি, যখন হবে তখন বিবেচনা করব।’

আজ রোববার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় জাহাঙ্গীর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। সভায় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আজমত উল্লা খান, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকার মোশারফে হোসেন প্রমুখ।

গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটি আসনেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন জাহাঙ্গীর আলম। এর মধ্যে গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল, গাজীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন এবং গাজীপুর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামানের পক্ষে কাজ করছেন। প্রতিদিনই এসব প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন জাহাঙ্গীর।

আওয়ামী লীগের লোকজনের নৌকার বিপক্ষে কাজ করা প্রসঙ্গে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘তাঁদের বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে আমার একক কোনো মত নেই। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি সেটার পক্ষে। তবে যারা প্রার্থী হয়েছে, তাদের অভিনন্দন জানাই, ধন্যবাদ জানাই। তবে অনেকে যে ভাষায় কুৎসা রটনা করছে, তা দুঃখজনক। যারা কথা বলছে, যদি জবাব দেওয়ার মতো পর্যায় যায়, তখন জবাব দেব।’

কালিয়াকৈরে একসময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক অরাজকতা ছিল উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি যেন এখানে শান্ত পরিবেশ থাকে। দলমত–নির্বিশেষে সবাই স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। কালিয়াকৈরে যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড না হয়, সেটি খেয়াল রেখেছি। এটা দেশবাসীর ও এ অঞ্চলের মানুষ নির্বাচনে মূল্যায়ন করবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী ৭ জানুয়ারি এ এলাকার মানুষ ভোট দিয়ে সব প্রশ্নের জবাব দেবে। আমার বিশ্বাস, জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে সব ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচারের দাঁতভাঙা জবাব দেবে এবং তাদের শোচনীয় পরাজয় হবে।’