খাগড়াছড়ির বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতা–কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির নেতারা। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে জেলায় হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
আজ বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের কলাবাগান এলাকায় নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া এ অভিযোগ করেন। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার, জেলা বিএনপির সহসভাপতি অনিমেষ চাকমা, মোশারফ হোসেন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়াদুদ ভূঁইয়া গতকাল মঙ্গলবারের হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, বিএনপির নেতা–কর্মীরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে দলীয় কার্যালয়ে এলে দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও অফিস ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় বিএনপির ১৭০ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের লোকজন খাগড়াছড়ি, মাটিরাঙ্গা ও রামগড়ে বিএনপির নেতা–কর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছেন এবং পানছড়ি উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা, পৌরসভা কার্যালয় ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়। পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, যাতে করে বিএনপির ওপর দোষারোপ করতে পারেন এবং নিজেকে হাইলাইট করতে পারেন।
ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, তাঁর কাছে মামলা করতে এখন পর্যন্ত কোনো দল আসেনি।
গতকাল সকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচি কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৫০ জন আহত হন।