রাজশাহী–২ আসনে ১৪–দলীয় জোটের প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু
রাজশাহী–২ আসনে ১৪–দলীয় জোটের প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু

রাজশাহীতে আলোচনায় বাদশা ও মিনুর ‘হঠাৎ’ কফিপান

রাজশাহী–২ আসনে ১৪–দলীয় জোটের প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু গত শনিবার সন্ধ্যায় নগরের একটি হোটেলে একসঙ্গে কফি পান করেন বলে খবর ছড়িয়েছে।

ফজলে হোসেন বাদশা একসঙ্গে কফিপানের বিষয়টি স্বীকার করলেও বলেছেন, হঠাৎ করেই মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে। তবে মিজানুর রহমান মিনু সাক্ষাতের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।

১৪–দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীক পেলেও এবার আওয়ামী লীগ তাঁর সঙ্গে মাঠে নেই। আ.লীগের নেতা–কর্মীরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। দলের নেতারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছেন। এ অবস্থায় বিপরীত মেরুর দুই নেতার একটি হোটেলে বসে কফিপানের বিষয়টি রাজশাহীর রাজনীতিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র দুই নেতার একসঙ্গে বসে কফিপানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে কী বিষয় নিয়ে তাঁদের আলাপ হয়েছে, সে বিষয়ে তারা কিছু বলতে পারেনি।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, তিনি একটি কর্মসূচি থেকে তাঁর দুজন কর্মীকে নিয়ে কফিপানের জন্য ওই হোটেলে বসেছিলেন। মিজানুর রহমান মিনু তাঁর পরিবারের জন্য খাবার নিতে এসেছিলেন। তিনিও কফি পান করেছেন। তিনি তাঁকে (বাদশা) সালাম দিয়েছেন। তিনি সালামের জবাব দিয়েছেন।

মিজানুর রহমান মিনু এই হোটেলে পরিবারের জন্য খাবার কিনতে আসবেন কেন, তাঁর বাড়ি তো অন্যদিকে। এমন প্রশ্নের জবাবে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, তিনি (মিনু) নাকি নিয়মিত আসেন। হোটেলটা ভালো। পার্কের উল্টো দিকে।

তবে হোটেলে ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন মিজানুর রহমান মিনু। তিনি বলেছেন, ‘ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে আমার দুই মাস আগে দেখা হয়েছে। এমনি পত্রপত্রিকায় ছবি দেখি। আর আমি কফিই জীবনে খাই না, স্যুপ খাই। হরতাল–অবরোধের আগে ওই হোটেলে যেতাম। এখন বাড়ি থেকেই বের হই না।’

তবে হোটেলটির অপারেশন ম্যানেজার ফখরুল আলম নিশ্চিত করেছেন যে ওই দুই নেতা হোটেলে এসেছিলেন। তাঁরা কফি পান করেছেন। এরপর চলে গেছেন। কী নিয়ে তাঁরা আলাপ করেছেন, তা তিনি বলতে পারবেন না।