৬ বছর ৮ মাসে লেখা কোরআন শরিফের দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনী চলছে সাতক্ষীরায়

হাবিবুর রহমানের হাতে লেখা কোরআন শরিফের প্রদর্শনীতে অতিথিরা। আজ শনিবার সকালে সাতক্ষীরা শহরতলির মেহেদীবাগের মসজিদে কুবায়
ছবি: প্রথম আলো

সাতক্ষীরার বাসিন্দা হাবিবুর রহমানের হাতে লেখা পবিত্র কোরআন শরিফের দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরা শহরতলির মেহেদীবাগের ‘মসজিদে কুবায়’ আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া প্রদর্শনী চলবে আগামীকাল রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত। আয়োজকেরা বলছেন, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হাতে লেখা কোরআন শরিফ।

প্রধান অতিথি হিসেবে সকালে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। মসজিদে কুবা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জি এম নুর ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন লেখক হাবিবুর রহমান, ফিফার সাবেক রেফারি তৈয়ব হাসান সামছুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, মসজিদে কুবার ইমাম সাইফুর রহমান, মসজিদে কুবার পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

৪০৫ কেজি ওজনের কোরআন শরিফটি লিখতে হাবিবুর রহমান ৪০৮টি আর্টপেপার ও ৬৬০টি কলম ব্যবহার করেছেন

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ হাতে লেখা কোরআন শরিফের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে ভালো লাগছে।’

হাবিবুর রহমান একসময় শিক্ষকতা করলেও বর্তমানে তিনি একজন ব্যবসায়ী। প্রদর্শনীর আয়োজকেরা জানান, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি কোরআন শরিফ হাতে লেখা শুরু করে চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ করেন। এ কোরআন শরিফের দৈর্ঘ্য ৩৩৫ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ২৬৪ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৪০৫ কেজি। দীর্ঘ ৬ বছর ৮ মাস ২৩ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৪২ পাতার কোরআন শরিফ হাতে লিখেছেন তিনি। লাল, নীল, সবুজ ও কালো রঙের চারটি কলাম শোভা বাড়িয়েছে। এতে হাবিবুর রহমান ৪০৮টি আর্টপেপার ও ৬৬০টি কলম ব্যবহার করেছেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ইউটিউবে ভিডিও দেখে তিনি এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। কোনো বিত্তবান ব্যক্তি যদি অর্থ দিয়ে এ কোরআন শরিফ সংগ্রহ করেন, তাহলে তিনি দিতে আগ্রহী। সেই অর্থ দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য তিনি একটি হাসপাতাল নির্মাণ করতে চান।