ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেনসহ ১০ জন হামলায় আহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে ওই প্রার্থীর ছোট ভাই হেমায়েত উদ্দিন খান (৫২) বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি করেন।
মামলায় আরেক প্রার্থী (আনারস প্রতীক) উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমানসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির, যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরিফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮০–৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলভী শাহারুন (৩০), ছাত্রলীগ কর্মী ইশতিয়াক আহমেদ (২৮) ও তুহিন হওলাদার (৩০)। তাঁরা এজাহারভুক্ত আসামি। আজ দুপুরে ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের কীর্তিপাশা মোড় এলাকায় উঠান বৈঠক চলাকালে চেয়াম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের (দোয়াত কলম প্রতীক) ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আহত সুলতান হোসেন খানকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ‘আমার ভাই (সুলতান হোসেন খান) আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। আনারস প্রতীকের প্রার্থী খান আরিফুর রহমান আমার ভাইয়ের প্রতিপক্ষ। তিনি আমার ভাইকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের কীর্তিপাশা মোড় এলাকায় আমার ভাইয়ের উঠান বৈঠক চলাকালে খান আরিফুর রহমানের নির্দেশে আসামিরা জিআই পাইপ, হকিস্টিক ও দেশী অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। এতে আমার ভাই সুলতান হোসেন খানসহ ১০–১২ জন গুরুতর আহত হন।’
এদিকে খান আরিফুর রহমানের সমর্থক এনামুল হক বাদী হয়ে সুলতান হোসেন খানসহ তাঁর সমর্থকদের নাম উল্লেখ করে শহরের কীর্তিপাশা মোড় এলাকায় আনারস প্রতীকের অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ এনে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়নি।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।