সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সুনামগঞ্জের তরুণ সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার মতিউর রহমান ওরফে পাগল হাসানের (৩৫) সঙ্গে থাকা জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামের আরেকজন মারা গেছেন। তিনি সেদিন পাগল হাসান ও অন্যদের সঙ্গে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশায় ছিলেন।
গতকাল শনিবার গভীর রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম।
১৮ এপ্রিল সকালে ছাতক উপজেলা শহরের সুরমা সেতুর কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের বাসিন্দা সংগীতশিল্পী পাগল হাসান ও তাঁর সঙ্গে থাকা একই গ্রামের বাসিন্দা সাত্তার মিয়া (৩০) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় অটোরিকশায় থাকা আরও তিনজন আহত হন। এর মধ্যে শিমুলতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমও ছিলেন। আহত অন্য দুজন হলেন একই গ্রামের লায়েছ ও রুপন।
শিমুলতলা গ্রামের বাসিন্দা সংগীতশিল্পী পাগল হাসানের মামা রবিউল হাসান বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারও দরিদ্র। তিনি স্টিলের যন্ত্রাংশ তৈরির ওয়ার্কশপের শ্রমিক ছিলেন। তাঁর দুই স্ত্রী ও ছয় সন্তান আছে। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শিমুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাঁর জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।
সংগীতশিল্পী হাসানের বাড়ি ছাতক উপজেলার শিমুলতলা গ্রামে। তাঁর বাবা মৃত দিলোয়া হোসেন ওরফে দিলশাদ। তাঁর মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে আছেন।