মরদেহ
মরদেহ

সরকার পতনের দিন সিলেটে হামলায় আহত যুবলীগ কর্মীর মৃত্যু

সিলেটে সরকার পতনের দিন ৫ আগস্ট হামলায় আহত এক যুবলীগ কর্মী প্রায় দুই মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল রোববার বিকেলে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম ফখর উদ্দিন (৩৮)। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী নুরুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। যুবলীগের কর্মী ফখর সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন।

নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় কয়েক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট গোলাপগঞ্জ-ঢাকা দক্ষিণ সড়কের রাঙাডহর বাজারে চা পান করতে গেলে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে ফখর উদ্দিনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ফখর উদ্দিনকে ১৫-২০ জন মিলে মারধর করেন। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সেখান থেকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।

হাসপাতালটিতে চিকিৎসা শেষে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। গতকাল দুপুরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ফখরের ছোট ভাই ফজলু মিয়া বলেন, তাঁর ভাই মৃত্যুর ১৫ দিন আগে তৃতীয় সন্তানের (ছেলে) বাবা হন। আগে তিনি যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তবে পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে রাজনীতি ছেড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। ঘটনার দিন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে এলাকারই কয়েকজন মিলে তাঁকে মারধর করেন। এতে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। আজ তাঁকে দাফন করা হবে।

এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ থানায় ১২ জনকে আসামি করে গতকাল রাতে মামলা করেছে নিহত ব্যক্তির পরিবার। তাঁদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আবদুন নাসের। তিনি বলেন, বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। এর আগে ময়নাতদন্তের পর ফখর উদ্দিনের মরদেহ পরিবারের হস্তান্তর করা হয়েছে।